তামিম ইকবালকে নিয়ে নাটকীয়তা যেন শেষই হচ্ছে না দেশের ক্রিকেটে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পর অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর সিদ্ধান্ত নেন অবসর ভাঙারও। যদিও তখনই জানানো হয়, দেড় মাসের জন্য ছুটিতে থাকবেন তামিম।
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তামিম নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা বলেন। অবসর ভেঙে ফিরলেও আসন্ন বিশ্বকাপে তিনি অধিনায়ক থাকবেন কি না, এ নিয়েও নানা প্রশ্ন আছে। যদিও বিসিবি সভাপতি নিশ্চিত করেছেন, বিশ্বকাপে তাদের অধিনায়ক এখনও আছেন তামিমই।

তিনি বলেন, ‘আমি একটা সোজাসাপ্টা জিনিস বলে দেই, আমাদের বিশ্বকাপের অধিনায়ক হচ্ছে তামিম। এটা নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নেই। তামিম যেহেতু দুইটা ম্যাচ খেলেনি, তখন লিটন অধিনায়ক ছিল। এখন যদি তামিম ফিরে আসে, তাহলে ও অধিনায়ক হবে। ও না এলে আরেকজন হবে। আমরা তো নিশ্চিত না ও কোন ম্যাচটা খেলতে পারবে, কখন থেকে খেলতে পারবে। ’

এ সময় নিজের পিঠের চোটের চিকিৎসা করানোর কথা তামিমের। কয়েকদিন আগে পরিবার নিয়ে দুবাইয়ে ঘুরতে যান তামিম। এরপর তার চিকিৎসার জন্য যাওয়ার কথা ইংল্যান্ডে। এর মধ্যে এক সাক্ষাৎকারে তামিম জানান, তাকে সঠিকভাবে ব্যায়াম করানো হয়নি। চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে।

রোববার এক পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আপনারাই বলেন। এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ এই কথা কেন বলেছে, কোন পরিস্থিতিতে বলেছে আমি তো জানি না। তার মানে যারা ওকে ব্যায়াম দিয়েছে, তারা কি ওর ক্ষতি চায়? আমি জানি না উদ্দেশ্যটা কী বলার। দুই বছর ধরে তো ও যখন যা চাচ্ছে, চিকিৎসার জন্য দেশে-বিদেশে, যা যা বলছে আমরা সবই করছি। আমরা তো এর আগে শুনি নাই ওর অন্য কিছু আছে। ’

‘এখন ও বলছে, একটা ডাক্তার দেখিয়েছে সে বলেছে ইনজেকশন দিতে হবে অথবা সার্জারি করতে হবে। ফাইন, যেটা লাগবে করবো আমরা। মানে আমরা এক পায়ে দাঁড়ানো। ওকে সুস্থ করার জন্য যা যা দরকার আমরা করতে রাজি আছি। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। এ মন্তব্য কেন করেছে আমি জানি না। আমাকে কখনো বলেনি। ’

গত কয়েকটি সিরিজেই দলে নেই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে বাদ দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল বিশ্রামের কথা। কয়েকদিন ধরে মিরপুরে অনুশীলন করতে দেখা যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহকে। তাকে কি দেখা যাবে বিশ্বকাপের দলে? নিশ্চিত করে বলেননি পাপন।

তিনি বলেন, ‘আমার জন্য বলা খুব কঠিন। এখন আমি বলতে পারবো না। নির্বাচকদের সঙ্গে কথা না বলতে পারলে বলা কঠিন কী অবস্থায় আছে। এই সিরিজটা খেলতো যদি, খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারতাম। ও যেহেতু ছিল না, সেজন্য এখন টিমে…ও তো খেলে শুধু ওয়ানডে। ওখানটায় দেখতে হবে কোথায়। আমি কোনো আসবে না, বা আসতে পারবে না এরকম কোনো চিন্তা ভাবনা আমার নেই। পারফরম্যান্স না দেখে বলে দেওয়া যে হ্যাঁ ও খেলবে এটাও সম্ভব না। আমার পক্ষে বলাটা কঠিন। ’

অবসর ভাঙতে তামিমকে গণভবনে নিয়ে যান মাশরাফি বিন মর্তুজা। সাবেক এই অধিনায়ককে মেন্টর হিসেবে পাওয়ার আবদার করেন তামিম। এ নিয়ে জানতে চাইলে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এসব এখন বলার কোনো সুযোগই নেই। বিশেষ করে ওখানে যে আলাপ হয়েছে, ওখানেই থাকুক। বাইরে আলাপ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। ’